১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার টেপরা নামক স্থান থেকে আশা’র কাযর্ক্রম শুরু হয়। সমাজের দরিদ্র, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও তাদেরকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে আশার সাংগঠনিক কাযর্ক্রম শুরু করেন জনাব মোঃ সফিকুল হক চৌধুরী। সে সময় তিনি সমমনা বেশ কয়েকজন উন্নয়ন কর্মী নিয়ে আশা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রচলিত গতানুগতিক উন্নয়ন ধারার সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রমের জন্য একটি বিকল্প উন্নয়ন ধারা অনুসন্ধানের ইচ্ছা থেকেই মূলতঃ আশার জন্ম। জন্ম লগ্ন থেকে আশা বিভিন্ন উন্নয়ন কাযর্ক্রমে অংশগ্রহণ করে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আত্মনির্ভর ক্ষুদ্র ঋনদানকারী প্রতিষ্ঠান তথা Micro Finance Institute (MFI) হিসেবে দেশ-বিদেশে সমাদৃত। সময়ের দাবী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাহিদার সাথে সংগতি রেখে ১৯৯২ সালে সংস্থার কর্মপদ্ধতি ও কর্মকান্ডের ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। তখন থেকে সঞ্চয় ও ঋণ কাযর্ক্রম সেবার দ্বারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে (বিশেষ করে মহিলা) অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সেবার বিনিময়ে অর্জিত সেবামূল্য থেকে সংস্থাকে স্থায়িত্বশীল ও টেকসই করার দৃঢ় প্রত্যয় এবং অভিপ্রায় নিয়ে নতুন ভাবে কাযর্ক্রম শুরু করে। ক্ষুদ্র ঋণে আশার গৌরবময় অর্জন ও নন্দিত সফলতার কারণে আজ আশার মডেলকে অনুসরণ করা হচ্ছে বিশ্বের অনেক দেশে। আশার সহজ-সরল, নমনীয় এবং ব্যয় সাশ্রয়ী নীতি এই সফলতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি। বিদেশী অনুদানহীন সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে আত্মনির্ভরশীল টেকসই উন্নয়ন মডেল হিসাবে আশা সারাবিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। বিদেশে আশার উন্নয়ন মডেল: আশার উদ্ভাবন মূলক ক্ষুদ্র ঋণ মডেল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনুসৃত হচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। যে সকল দেশে আশার মডেলে ক্ষুদ্রঋণ কাযর্ক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা হলো- আফগানিস্থান, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, ভারত, জর্দান, মায়ানমার, ঘানা ও পেরু। ভিশনঃ দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। মিশনঃ সমাজের দরিদ্র, অনগ্রসর ও প্রান্তিক শ্রেণীর নারী ও পুরুষের আর্থিক ক্ষমতায়ন। লক্ষ্যঃ আর্থিক সেবা তথা ঋণ কর্মসূচীর মাধ্যমে দরিদ্র, প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্ঠি করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। উদ্দেশ্যঃ লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নিম্নোক্ত কাজ করা- আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, পারিবারিক আয় বৃদ্ধি করা, ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, নারীর ক্ষমতায়ন, পরনির্ভরশীলতা হ্রাস করা, প্রাকৃতিক দুযোর্গ/আপদ বিপদের ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, উদ্যোক্তা বিকাশে সহায়তা করা, নিজস্ব পুঁজি বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা, এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
এখানে ক্লিক করুন
http://asa.org.bd/
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস